গন্ডারের চামড়া বনাম আমাদের সমাজ

প্রচলিত আছে, গন্ডারকে কাতুকুতু দিলে নাকি সাত দিন পর সে টের পায়। জানি না কথাটার সত্যতা কতখানি। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, সত্যি হতেও পারে। কারণ, গন্ডারের চামড়া অনেক মোটা বা পুরু। চামড়া মোটা হওয়ার কারণেই হয়তোবা এই কথাটা প্রচলিত আবার এমন ও প্রচলিত আছে,  যদি কেউ কারো কথা মান্য না করে তাহলে তার চামড়া কে গন্ডারের চামরার সাথে তুলনা করা হয় এবং বলা হয় “তোর তো গন্ডারের চামড়া এতো বলি তার পরেও তুই তো কোন কথাই শুনিস না” আসলেই কি তাই- 



গন্ডার কি কথা শুনতে পায় না বা আঘাত করলে কষ্ট পায় না? এটা একটা হাস্যরসাত্মক কথা এর চাইতেও ভয়ঙ্কর বিষয় হল- আমাদের সমাজে কিছু মানুষ আছে যাদের দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বলা হয়, বোঝানো হয় তার পরও পরিবর্তন হওয়া কোন নাম গন্ধ পর্যন্ত নাই তাহলে এদের চামড়ার আবস্থা কি? গন্ডার একটি বন্য প্রাণি প্রাকৃতিক নিয়মেই এর চামড়া মোটা,  হয়তো বা অনুভূতি পেতে একটু দেরি হয় কিন্তু আমরা তো সৃষ্টির সেরা আর আমাদের চামড়াও তো গন্ডারের চামরার মতো মোটা না তাহলে আমাদের চামড়ায় কেন সহজে অনুভূতির সঞ্চার হয় না তা কোন গবেষণায় আজ পর্যন্ত প্রমাণ হয়নি। তাই আসুন গন্ডারের চামড়া নামক কল্পিত বিষয় আমাদের কল্পনা থেকে ছুঁড়ে ফেলি এবং নিজেকে পরিবর্তন করে নেই পরে আর হয়তো বা সময় নাও পেতে পারি…

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Construction and Testing of a Step-Down DC Chopper Circuit

Construction and Testing of a Step-Up DC Chopper Circuit